হাদীসে মসিহ
********************* মসিহ্ *******************
সহিহ বুখারীর ৮৩২ নং সহিহ হাদিসের অংশে উল্লেখিত
"মসিহ্ হলো দু ব্যক্তি একজন মসিহ ঈসা ইবনু মারইয়াম অপরজন মসীহে্ দাজ্জাল"
আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম) অসংখ্য অগণিত হাদিসে এ দু-জনকে তাদের নামের আগে "মসিহ্" বলে সংবোধন করেছেন। আমরা হাদিসগুলো লক্ষ করলেই তা আমাদের নজরে আসে।
প্রিয় পাঠকবৃন্ধ অনুগ্রহ করে লিখাটা পড়ুন এবং বুঝে অন্তত একটি সঠিক মন্তব্য করুন।
প্রিয় পাঠক,
কাদিয়ানী সম্প্রদায় এই "মসিহ্" শব্দটার রহস্য ভেঁদ করতে চায়না, তার অন্যতম প্রধান কারণ হলো, এই রহস্য প্রকাশ পেলে তাদের ভন্ড মসিহ্ অর্থাত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী মিথ্যাবাদী কাজ্জাব হিসাবে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়ে যাবে।
তারা এই "মসিহ্" কথাটার সহজ অর্থে "সংস্কাকারী" হিসাবে প্রচার করে অথছ, এর অর্থ মুফাসসিরিনে কেরামগন এক অভিন্ন এবং সঠিক ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন নিম্নে লক্ষ করুন।
প্রথমে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই "মসিহ্" শব্দের সাথে, ঈসা (আঃ) এর নাম কোরআনে ঈসা নামের পরেও মসিহ্ নাম ও উল্লেখ করা হয়েছে, মসিহ্ অর্থ হল (অত্যধিক ভ্রমণকারী, দৃষ্টিদানকারী, মনোনীত,)।
ঈসা (আঃ) এর উপর ইয়াহুদিদের কঠোর শত্রুতা, মিথ্যা আরোপ এবং তাঁর উপর ও তাঁর মায়ের উপর অপবাদ দেওয়ার কারণে সৃষ্ট ফিতনা ফাসাদ থেকে দ্বীনকে রক্ষার জন্য তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় সফরে কাটান । এ কারণে তাঁকে মসিহ্ বলে আখ্যায়িত করা হয় । কারো কারো মতে তাঁর পায়ের তলা সমতল থাকার কারণে ঈসা (আঃ) কে মসিহ্ বলা হয়।
আবার ঈসা (আঃ) জন্মান্ধ কাউকে স্পর্শ করলে তার অন্ধত্ব দূর হয়ে যায়, আবার তিনি আল্লাহর মনোনীত এবং সম্মানিত এজন্যই হযরতে ঈসা (আঃ) কে মসিহে ঈবনু মারইয়াম বলা হয়।
(আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ২-য় খন্ড)
(তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন)
(তাফসীরে জালালাইন)
(তাফসীরে ইবনে কাসীর)
প্রিয় পাঠক,
আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন যে ঈসা (আঃ) মসিহ্ হওয়ার কিছু সুনিশ্চিত কারণ রয়েছে তিনি তার জীবনে অনেক জন্মান্ধকে আরোগ্য করে দিয়েছে শুধু মাত্র স্পর্শ করেই।
কাদিয়ানী সম্প্রদায় যাকে মসিহ্ মান্য করে সেই মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী তার জীবদ্দশাতে কখনো কাউকে এরকম আরোগ্যতা দিতে পেরেছে, এমন ইতিহাস কেউ দেখাতে পারবেন.....?
মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী জীবনে কত যায়গায়, কতটা পথ, পায়ে হেটে হিজরত করেছেন এমন নজির দেখাতে পারবেন কেউ.....?
মির্যা গোলামম আহমদ কাদদিয়ানী আল্লাহতালা থেকে মনোনীত এমন একটা কোরআনের আয়াত দেখাতে পারবেন কেউ.......?
মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কিরকম সম্মানিত, যে কিনা কলেরার আজাবে টয়লেটে পড়ে মৃত্যু বরণ করেছে, একজন আল্লাহ পদত্ত কোন মানুষ এরকম অপদস্ত হয়ে বেইজ্জত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে এমন প্রমান দেখাতে পারবেন কেউ.......?
যদি এসব প্রশ্নের কোরআন হাদিস ভিত্তিক (যুক্তিযুক্ত) উত্তর দিতে পারেন তবে আমাকে চ্যালেঞ্জ করুন আমি আল্লাহর গোলাম মেহেদী ইনশাআল্লাহ, প্রস্তুত আপনাদের দাঁতভাংঙ্গা জবাব দিতে।
আর যদি না পারেন তবে এই ভন্ডের সংঙ্গ ছেড়ে প্রিয়নবী করিম (সঃ) এর সংঙ্গধরুন, দূনিয়া ও আখেরাত উভয়ই কামিয়াবি পাবেন ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় পাঠক,
এবার দেখবো দাজ্জালকে কেন মসিহ্ বলা হয়, আল্লাহর রাসুল (সঃ) এর অসংখ্য হাদিস থেকে জানা যায় দাজ্জালের নামের আগে তাকে মসিহ্ বলেছেন, আর শুধু মাত্র দু-টি কারণে আল্লাহর নবী (সঃ) দাজ্জালকে মসিহ্ বলেছেন, প্রথমত সে জীবিতকে মৃত আর মৃতকে জীবিত করার ক্ষমতার কারণ এবং দ্বিতীয়টি সে ৪০ দিনে পুরো পৃথিবী চষেঁ বেঁড়াবে, এই বিশেষ দুই কারণে তাকেও মসিহ্ উপাদী দেয়া হয়েছে।
সুতরাং কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ভ্রান্তধারণা যে ইহুদী খৃষ্টান সম্প্রদায়ই "দাজ্জাল" এটা তাদের ভূল ধারণা। মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেকে ঈসা সাব্যস্ত করতে পবিত্র আল কোরআনের আয়াতগুলোকেও বিকৃত করতে তার হৃদয় এককটুও কাঁপেনি, সে হাদিস গুলোকে অস্বিকার করতেও তার বুক আল্লাহর ভয়ে কাঁপেনি, সে তার মন মত ব্রিটিশের চামচামি আর প্রলোভনে নতুন এক ধর্মের প্রবর্তন করে, কাদিয়ানী ধর্ম. পরবর্তীতে আহমদি অমুসলিম জামাত নাম দেয় এবং নিজেকে ঈসা নবী দাবী সহ ইমাম মাহদী সাব্যস্ত করতে বিশ্ব বরেণ্য আলেমে দ্বীনদের ব্যাপারে তার অনুসারীদের ভূলবাল বলে বিষিয়ে তুলে ভূল ব্যাখ্যাদিয়ে মোল্লা মৌলভীর ধারে কাছেও কোনদিন না যাওয়া কথা বলে, কারণ মোল্লা মৌলভীর কাছে গেলে তার ব্যবসা জালিয়াতি ধরাপড়ে যাবে আর সে তার উম্মতের কাছে মিথ্যবাদী সাব্যস্ত হবে তাই।
কিন্তু আল্লাহতালা যে মহাজ্ঞানী এটা মনে হয় সে ভূলে গিয়েছিলো, অবশেষে আল্লাহর আজাব তাকে পাকড়াও করলো মহা ভয়ঙ্কর এক রোগ "কলেরার আজাব" এই আজাবে মাত্র চাঁর থেকে দু-ঘন্টার মধ্যেই টয়লেটে পড়ে কেল্লাফত হয় এই মিথ্যাবাদী কাজ্জাবের।।
আল্লাহতালা আহমদি তথা কাদিয়ানী ফেতনা থেকে হেফাজত করুন আমিন।
......................................মেহেদী সেলিম।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন